নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আগামী ২৬ ডিসেম্বর বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন উপলক্ষে নৌকা প্রার্থী আল-আমিন সরকারের পক্ষে মাঠে নেমেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা। তারা আওয়ামীলীগের নির্দেশনা মোতাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্দেশনা মোতাবেক নৌকা প্রতীক জেতাকে দিনরাত মাঠে কাজ করছেন। অপরদিকে, সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদানকারী নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামসুল আলম নৌকা ডুবাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব সরকারের পক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করছেন আওয়ামীলীগ নেতারা। তারা জানান, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগে যোগদান দিয়ে বলেছিলেন শেখ হাসিনা আরো ২০ বছর ক্ষমতায় থাকবে সেজন্য তিনি আওয়ামীলীগেই থাকতে চান। কিন্তু সে কথার কয়েকদিনের মাথায়ই শেখ হাসিনার দেয়া নৌকা ডুবাতে তিনি তৎপর হয়ে উঠেছেন। যা একজন প্রকৃত আওয়ামীলীগের কর্মীর পক্ষে অসম্ভব।
সুত্র জানান, সদ্য অনুষ্ঠিত নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে জয়লাভ করেন সামসুল আলম। এর আগে তিনি নারায়নগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সদ্য অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি সোনারগাঁয়ের এমপির সমর্থন নিয়ে নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামীলীগ নেতা দেওয়ান উদ্দিন চুন্নুকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার ২দিন পরই তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক এড: সামসুল ইসলাম ইসলাম ভুইয়ার হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। আওয়ামীলীগে যোগদানের দিন রাতেই তিনি আড়াইহাজার উপজেলায় একটি ওয়াজ মাহফিলে আওয়ামীলীগ নেতাদের বিষোদগার করে বক্তব্য রাখেন। সেখানে বলেন দল একটা ভাগ আটটা। এই নেতা সেই নেতা কতো নেতা। আবার তিনি জাতীয়পার্টির লোক হয়েও এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি নাকি সোনারগাঁয়ে কোন উন্নয়নই করেনি শুধু চাপাবাজি করেছেন। সে সময় তিনি সোনারগাঁ কে আড়াই হাজারে অর্ন্তভুক্ত করারও দাবি জানান। যা সোনারগাঁবাসীর জন্য লজ্জাজনক বলে মনে করেছেন আওয়ামীলীগের নেতারা। ওয়াজ মাহফিলে তিনি জানান, তার বাড়ি আড়াই হাজার উপজেলায়। তিনি সোনারগাঁয়ে তার নানীর বাড়ি থেকে বড় হয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি ঢাকায় করেন আওয়ামীলীগ আর সোনারগাঁয়ে করেন জাতীয়পার্টি। তার এসব অসংলগ্ন বক্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠে সোনারগাঁয়ে। যা প্রকাশ্যে অনেক নেতা তার সমালোচনা করেন। এবার তিনি আওয়ামীলীগের নেতা হয়ে ইউপি নির্বাচনে প্রকাশ্যে নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে।
নাম প্রকাশ না শর্তে কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতা জানান, যে নেতা কতদিন আগে আওয়ামীলীগের সুনাম করে আরো ২০ বছর ক্ষমতায় থাকবে বলে ভবিষ্যৎ বানী করেছেন সে নেতা এখন আওয়ামীলীগকে ডুবাতে নৌকা বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। তাহলে তার কথাই ঠিক তিনি কখনো জাতীয়পার্টি কখনো আওয়ামীলীগ এখন নতুন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেন। তিনি যে আসলে কোন পার্টি করেন এটা ওনিই বলতে পারবেন। তবে, এসব নেতাদের কাছ থেকে আওয়ামীলীগ ও নৌকাকে দুরে রাখতে হবে নয়তো একদিন প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কাজ করা শুরু করবেন তারা।।